উত্তম কর ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য ও বিস্তারিত আলোচনা

উত্তম কর ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য ও বিস্তারিত আলোচনা

যে কর ব্যবস্থা সমাজে ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠা করে উৎপাদন বিনিয়োগ নিয়োগ ইত্যাদি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং যা তুলনামূলক সহজ সরল উৎপাদনশীল তাকে উত্তম কর ব্যবস্থা বলেন। 

 

উত্তম কর ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য 

 

প্রত্যেকটা উন্নয়নশীল দেশে উত্তম কর ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে সম্পদের সুষম বন্টন এবং সঞ্চয় ও বিনিয়োগে উৎসাহ প্রদান বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের কর ব্যবস্থা কে উত্তম কর ব্যবস্থা হিসেবে গণ্য করা যায় না ‌। উত্তম কর ব্যবস্থাপনা বৈশিষ্ট্য গুলো আলোচনা করা হলো।।

 

১ । পরোক্ষ করের উপর নির্ভরশীলতা: 

বাংলাদেশের মোট রাজস্বের শতকরা ৮০ থেকে ৮৫ ভাগই পরোক্ষ করের মাধ্যমে আসে। পরোক্ষ করের উপর এ নির্ভরশীলতার ফলে দেশের দরিদ্র জনসংখ্যা কে করের বোঝা বেশি বহন করতে হয়। 

 

২. রক্ষণশীল কর ব্যবস্থাপনা 

বাংলাদেশের রাজস্ব সংগ্রহের জন্য প্রধানত আয়কর বাণিজ্য শুল্ক আবগারি শুল্ক ভূমি রাজস্ব প্রভৃতি মুষ্টিমেয় কয়েকটি করের উপর নির্ভর করা হয়। মূল্য সংযোজন কর চালু করা হলেও এর ভিত্তি সম্প্রসারিত করা সম্ভব হয়নি। 

 

৩। অস্থিতিস্থাপক কর কাঠামো 

বাংলাদেশের করকাঠামো স্থিতিস্থাপক না। বাংলাদেশের মোট দেশীয় উৎপাদনের শতকরা প্রায় ৩২ ভাগ কৃষি হতে আসে অথচ কর সংগ্রহের ক্ষেত্রে এক হাতের অবদান খুবই কম। কর কাঠাম ো স্থিতিস্থাপক না হওয়াই কর সংগ্রহ অর্থাৎ রাজস্বের পরিমাণও অনেক কম হয়। 

৫. কর ফাঁকির প্রবণতা 

বাংলাদেশে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কম হওয়ার অন্যতম একটা কারণ হচ্ছে কর ফাঁকি। অধিকাংশ পর্দা তারা তাদের মোট আয় এর পরিমাণ বা প্রকৃত সম্পদ সঠিক হিসাব প্রদান করে না। ফলে সরকার প্রকৃত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। 

৬. কর প্রশাসনের দুর্বলতা 

বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব আদায়ের ঘাটতির অন্যতম কারণ হলো কর্পোরেশন এর দুর্বলতা। বাংলাদেশে পর প্রশাসনের নিয়োজিত কর্মকর্তাগণ যথেষ্ট দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না। এছাড়াও দুর্নীতি এবং অনুন্নত দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট সরকারের কর কাঠামোতে জটিলতা সৃষ্টি করে। 

 

৭. দুর্বল কর কাঠামো 

বাংলাদেশের পরের ভিত্তি মোটেই ভালো না বাংলাদেশের কর ও জিডিপির অনুপাত খুবই কম। ঘরের ভিত্তি যথেষ্ট সম্প্রসারিত না হওয়ায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশীয় সম্পদের অবদান খুবই কম। 

৮. প্রত্যক্ষ করের ভিত্তি সংকীর্ণ 

দেশের মোট কর রাজস্বের শতকরা প্রায় ১৫ থেকে ২০ ভাগ প্রত্যক্ষ কর থেকে আসে। আয়কর ভূমি ও কৃষি আয়কর সম্পত্তিকর দান কর এগুলোই হল প্রত্যক্ষ করের উৎস। 

৯. জটিল কর আদায় পদ্ধতি 

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ নিরক্ষর বা অশিক্ষিত। এই জটিল কর আদায় পদ্ধতির জন্য বাংলাদেশের মানুষকে করার প্রদানের ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের আশ্রয় নিতে হয়। 

আরও পড়তে ভিজিট করুনঃ 

আয়কর কি ও আয়কর দিবস কবে?

শেষ কথা 

উপরোক্ত আলোচনা হতে আমরা বাংলাদেশের পর ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পারলাম। বাংলাদেশের কর ব্যবস্থা যে অত্যন্ত জটিল এবং কর কাঠামো যে অত্যন্ত দুর্বল তা আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনাদের যদি আলোচনাটি ভালো লাগে তো লাইক কমেন্ট করে আমাদের সাথেই থাকুন। আপনার বন্ধুকে এ বিষয়ে জানাতে তার ফেসবুকে এটি শেয়ার করুন। ভালো থাকবেন সবাই দেখা হবে সামনে দিন আরো কোন নতুন একটি টপিক নিয়ে।