কোন দেশের সরকার আয়ের অর্থ তার নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন খাতে ব্যয় করে এর এই অংশকে সরকারি ব্যয় বলা হয়। সরকার তার নিজ দেশের জাতির সার্বিক কল্যাণ এবং জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় এই ব্যয় করে থাকে।
নিম্নে সরকারী ব্যয় এর বিভিন্ন খাত সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হলো:
১. দেশ রক্ষা
দেশ রক্ষা সরকারের জন্য পবিত্র একটা দায়িত্ব। দেশ রক্ষার জন্য সমরাত্র ক্রয় সমরাস্ত্র উৎপাদন। এবং সামরিক বাহিনীর সৃষ্টি ইত্যাদি কাজের জন্য সরকারকে প্রচুর পরিমাণে ব্যয় করতে হয়।
২. অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা
দেশের ভেতরে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এবং জনগণের সম্পদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সরকার ব্যয় করে থাকে। এ কাজের জন্য সরকার পুলিশ বাহিনী নামে বাহিনী গঠন করে। এছাড়াও রয়েছে আধা সামরিক বাহিনী আনসার গ্রাম প্রতিরক্ষা দল ইত্যাদিও সরকারি ভাইয়ের অন্যতম একটি খাত।
৩. শিক্ষা
দেশের জনগণকে নিরক্ষর মুক্ত করতে এবং আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে সরকারকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়।
৪. সামাজিক কল্যাণ
রাষ্ট্রে বসবাসরত সকল মানুষের নিরাপত্তা এবং জনস্বার্থে জনকল্যাণমূলক কাজ স্কুল কলেজ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা। দেশের জনগণের বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। চিকিৎসা এবং ঔষধ সরবরাহ রাস্তাঘাট প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সাহায্য ইত্যাদি খাতে সরকার অর্থ ব্যয় করে থাকে।
৫. অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা
দেশের জনগণের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি। সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি। এগুলোর মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায়।
৬. নগরায়ন
উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য দ্রুত গতিতে নগরায়ন ঘটে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য সরকার অর্থ ব্যয় করে থাকে।
৭. কৃষি
দেশের জনগণের খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য সরকার বিনামূল্যে সার কীটনাশক বীজ ইত্যাদি সরবরাহ করে থাকে। এছাড়াও কৃষকদের ভাগ্য বদলের জন্য সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে থাকে। এটি সরকারের ব্যয়ের একটি খাত।
শেষ কথা:
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাই যে সরকারি ব্যয় মূলত জনকল্যাণের জন্যই করা হয়। সরকার জনগণের কাছ থেকে যে আয় করে তার পুরোটাই জনকল্যাণের জন্য ব্যবহার করা হয়। আজ এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন। দেখা হবে কথা হবে নতুন কোন কনটেন্টে।