হাদিসের বাণী

বাছাই করা কুরআন হাদিসের বাণী চিরন্তনী

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ আল কুরআন এবং হাদিসের বাণী আমাদের জীবনের প্রতিটি ছোট বড় ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে। কুরআন ও হাদিসের বানী ছাড়া আমাদের জীবন যাপন করা অসম্ভব। পৃথিবীতে যা কিছু আছে, যা কিছু ঘটবে বা ঘটছে সব কিছু তথ্য পাওয়া যায় পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআনে। 

 

মানুষ তার জীবন চলার পথে প্রতিটা মুহূর্তের দিকনির্দেশনা পেয়ে যাবে কুরআন ও হাদিসে। কুরআন ও হাদিসের বানীগুলো যুগ যুগ ধরে মানুষ দিকনির্দেশনার পথ হিসেবে মেনে আসছে।

 

যুগে যুগে যারা এই কুরআন হাদিস কে অস্বীকার করেছে তারাই ধ্বংস হয়ে গেছে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মহামানব আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে দিকনির্দেশনা হিসেবে কোরআন ও হাদিস অনুসরণ করতে বলেছেন। তার উম্মত হিসেবে আমাদের উচিত এই মহান নেতার দিক নির্দেশনাগুলো মেনে চলা।

 

আজ আমরা আমাদের পোস্টটিতে পবিত্র কুরআন থেকে কিছু আয়াত এবং হাদিসের বাণী নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি এগুলো আপনাদের জীবনে দিক নির্দেশক হিসেবে কাজে লাগবে।

 

তাহলে চলুন আর দেরি না করে পড়ে নেওয়া যাক কুরআন ও হাদিসের বাণী সমূহ।

 

হাদিসের বাণী

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম পৃথিবীর সর্বশেষ নবী। এ পৃথিবীতে তার দেখানো পথে যে চলবে সেই জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতে যাবে।

 

আমরা তার উম্মত হিসেবে গর্ববোধ করি। তার দেখানো পথে চলি এবং সব সময় চলতে চাই। তিনি তার উম্মতের দিকনির্দেশনের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে দুটো জিনিস রেখে গেছেন। একটি হলো মহান আল্লাহ তাআলার বাণী পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআন। আর অপরটি হল তার বাণী তার সুন্নত বা সুন্নাহ অর্থাৎ হাদিসের বানী।

 

আমরা যদি এই হাদিসের বাণী গুলো মেনে চলতে পারি তবে আল্লাহ তা’আলা আমাদের উপর খুশি থাকবেন এবং আমরা পরকালে গিয়ে শান্তি পাবো। এখানে বেশ কিছু বাছাই করা হাদিস দেয়া হলো যা আপনি আপনার জীবন চলার পথে দেখুন নির্দেশনা হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

 

১. যে ব্যক্তি (পাপ ও ভিক্ষা করা হতে) পবিত্র থাকতে চায়, আল্লাহ তাকে প্রতি পবিত্র রাখেন –  (সহিহ বুখারী)

 

২. সালাত জান্নাতের চাবি – (আহমদ) ।

 

৩. পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক । (সহীহ মুসলিম) ।

 

৪. জান্নাতের চাবি হল – “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই” এ সাক্ষ্য দেওয়া – (আহমদ) ।

 

৫. বান্দার উপর আল্লাহর অধিকার হলো, তারা কেবল তারই আনুগত্য ও দাসত্ব করবে এবং তার সাথে কোন অংশীদার বানাবে না। (সহীহ বুখারী) ।

 

৬. বলো, ‘ আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি’ অতঃপর এ কথার উপর অটল থাকো। (সহীহ মুসলিম) ।

 

৭. কোন বন্ধু ততক্ষণ পর্যন্ত মুসলিম হয় না, যতক্ষণ তার মন ও যবান মুসলিম না হয় । (তাগরীব)

 

৮. তুমি মুমিন হবে তখন, যখন তোমার ভালো কাজ তোমাকে আনন্দ দেবে, আর মন্দ কাজ দেবে মনোকষ্ট। (আহমদ) ।

 

৯. সাত বছর বয়স হলেই তোমাদের সন্তানদের সালাত আদায় করতে আদেশ করো। ( আবু দাউদ) ।

 

১০. যে ব্যক্তি লোক দেখানোর জন্য সালাত পড়ল, সে শিরক করলো । (আহমদ) ।

 

আরও পড়ুনঃ

ইসলামিক স্ট্যাটাসঃ ইসলামের পথে শান্তি ও হেদায়াতের চাওয়া 

 

 

হাদিসের বাণী চিরন্তণী

ইসলামিক জীবন ব্যবস্থা দুটি বিষয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত। একটি হলো আল কুরআন এবং অপরটি হল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর জীবনের বাণী ও আচরণ। কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ইসলামিক জীবন প্রতিষ্ঠিত।

 

কুরআন আল্লাহর বাণী এবং হাদীস হলো নবীজির জীবনের আচরণ ও বাণী। হাদিসের বাণী আমাদেরকে ইসলামের আদর্শ সঠিকভাবে জীবন পরিচালনা করতে সাহায্য করে।

 

চলুন তাহলে  পড়ে নেওয়া যাক তেমনি কিছু বাণী চিরন্তণীঃ

 

১. ঈমান না এনে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। (আল হাদিস) ।

 

২. যার দুটি দিন একই রকম কাটলো, সে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। অর্থাৎ” যে আজকের দিনটিকে গতকালের চেয়ে বেশি কাজে লাগাতে পারলো না , সে উন্নতি করতে পারল না ” । (আল হাদিস) ।

 

৩. যে দীনের জন্য খুঁজে বের হয়, সে আল্লাহর পথে বের হয়। (তিরমিজি) ।

 

৪. প্রতিটি মানুষ তার কাজে সেই ফলই পাবে, যা সে নিয়ত করেছে। (বুখারী) ।

 

৫. অর্ধেকটা খেজুর দান করেও তোমরা নিজেদের বাঁচাতে পারো। যদি তাও না থাকে, তবে সুন্দর করে কথা বলো। (বুখারী) ।

 

৬. তোমরা একে অন্যের প্রতি হিংসা করো না, ঘৃণা বিদ্বেষ করোনা এবং একে অপরের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়োনা। (সহীহ মুসলিম) ।

 

৭. তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম যে তার পরিবার পরিজনের কাছে উত্তম। (ইবনে মাজাহ) ।

 

৮. অত্যাচারী শাসকের সামনে সত্য কথা বলা সবচেয়ে বড় জিহাদ। (তিরমিজি) ।

 

৯. এক ব্যক্তি রাসুল সাঃ কে সে বলল, আমাকে এমন কিছু শেখান যাতে আমি সুন্দরভাবে জীবন কাটাতে পারি। কিন্তু এমন কঠিন কিছু নয়, যা আমি ভুলে যেতে পারি। রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বললেনঃ “রাগ করোনা”। (আল হাদিস) ।

 

১০. সব ধরনের দাগ দূর করার জন্য কিছু না কিছু আছে; মনের দাগ দূর করার জন্য আছে আল্লাহর স্মরণ। (বুখারী) ।

আরও পড়ুনঃ 

 

 

কুরআনের উপদেশ বাণী

 

পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষের হেদায়েতের জন্য সর্বশেষ নবী করীম সাঃ এর মাধ্যমে পাঠিয়েছেন। মানব জীবনের সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ের উল্লেখ আছে আল কুরআনে। কুরআন থেকে আমরা জীবনের সকল সমস্যার সমাধান করতে পারি। ছাড়া জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে কুরআন থেকে দিকনির্দেশনা পেয়ে থাকি।

 

এখানে আপনাদের জন্য বেশ কিছু কোরআন ও হাদিসের বাণী নিয়ে এসেছি। চলুন পড়ে নেওয়া যাকঃ

 

১. যারা তোমার সঙ্গে লড়াই করবে, শুধু তাদের সঙ্গে তোমরা লড়াই করো। সূরা বাকারা ২:১৯০ ।

 

২. প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করো না। সূরা বাকারা ২:১৭৭ ।

 

৩. সৎ কার্য নিজে সম্পাদন করার পর অন্যদের করতে বল। সূরা বাকারা ২:৪৪ ।

 

৪. তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না। সূরা বাকারা ২:৪২ ।

 

৫. ঋণের বিষয় লিখে রাখো। সূরা বাকারা ২:২৮২ ।

 

৬. গোপন তথ্য অনুসন্ধান করো না এবং পরনিন্দা করো না। সূরা বাকারা ২:২৮৩ ।

 

৭. সাধ্যের বাইরে বোঝা চাপিয়ে দিও না। সূরা বাকারা ২:২৮৬ ।

 

৮. যদি ঋণী অভাবগ্রস্থ হয় তবে তাকে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দাও। সূরা বাকারা ২:২৮০ ।

 

৯. এই বিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি নিয়ে গভীর চিন্তা ভাবনা কর। সূরা আল ইমরান ৩:৩৯১ ।

 

১০. পুরুষ ও নারী উভয় তাদের কৃতকর্মের সমান প্রতিদান পাবে। সূরা আল ইমরান ৩:১৯৫ ।

 

১১. অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ভক্ষণ করো না। সূরা নিসা ৪:২৯ ।

 

১২. অনাথদের সম্পদ আত্মসাৎ করোনা। সূরা নিসা ৪:১০ ।

 

১৩. অন্যদের জন্য সদাচারী হও। সূরা নিসা ৪:৩৬ ।

 

১৪. যাদের সাথে রক্তের সম্পর্ক তাদের বিবাহ করো না। সূরা নিসা ৪:২৩ ।

 

১৫. ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকো। সূরা নিসা ৪:১৩৫ ।

 

১৬. বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষ নিয়ে বিতর্ক করো না। সূরা নিসা ৪:১০৫ ।

 

১৭. কার্পণ্য করোনা। সূরা নিসা ৪:৩৭ ।

 

১৮. বিদ্বেষী হয়ো না। সূরা নিসা ৪:৫৪ ।

 

১৯. পরিবারের উপর কর্তৃত্ব চালাবে পুরুষ। সূরা নিসা ৪:৩৪ ।

 

২০. একে অপরকে হত্যা করো না। সূরা নিসা ৪:৯২ ।

 

আরও পড়ুনঃ 

 

অনুপ্রেরণামূলক হাদিসের বাণী

এখানে আপনাদের জন্য লেখা হয়েছে বেশ কিছু অনুপ্রেরণামূলক হাদিস ও হাদিসের বাণী। আশা করি এগুলো পড়ার পর আপনি সততা, সাফল্য, উন্নতির সাথে জীবন যাপন করতে কোন অবস্থাতেই আল্লাহর উপর ভরসা হারাবেন না।

 

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর বাণী দিয়ে পূরণ করা হলো এই লেখাগুলো। চলুন পড়ে নেওয়া যাকঃ

 

১. আল্লাহ আমার কাছে এই কথা প্রকাশ করেছেন যে, তোমাদের অবশ্যই বিনয়ী হতে হবে। কেউ কারো উপর অহংকার করবে না, এবং কেউ কারো উপর অত্যাচার করবে না। মুসলিম ।

 

২. কোন আমল সমূহ আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়? যার মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্টিকূল উপকৃত হয়। বুখারী ।

 

৩. একবার এক লোক রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময়ে রাস্তার উপর কষ্টদায়ক কাটাযুক্ত একটি ডাল পড়ে থাকতে দেখল। লোকটি কষ্টদায়ক বস্তুটি রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলল। আল্লাহ তাকে ধন্যবাদ দিলেন এবং তার সব অপরাধ মাফ করে দিলেন। বুখারী ।

 

৪. দয়ালুর প্রতি আল্লাহ ও দয়াশীল হোন। তাই, পৃথিবীর মানুষের প্রতি দয়াশীল হও, তাহলে যিনি আসমানে আছেন – তিনি তোমার প্রতি দয়া দেখাবেন। আবু দাউদ, তিরমিজি ।

 

৫. যখন এমন কাউকে দেখবে যাকে তুমি বেশি সম্পদ দেয়া হয়েছে, (তখন আফসোস করার বদলে) এমন মানুষের দিকে তাকাও যাকে কম দেওয়া হয়েছে। মুসলিম ।

 

৬. তুমি তোমার হৃদয়কে সকাল থেকে রাত, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অন্যের উপর হিংসা করা থেকে বিরত রাখো। — হে আমার উম্মত এটি আমার আইনগুলোর একটি, এবং যে আমার আইন কে ভালবাসে সে আমাকেও অত্যন্ত ভালোবাসে। বুখারী ।

 

৭. সত্যিকারের জ্ঞানী কারা? – যারা তাদের জ্ঞানকে বাস্তবে কাজে লাগায়। বুখারী ।

 

৮. অতিরিক্ত সম্পদের বোঝা কাঁধে নিয়ে সত্যিকারের সুখের পথে হাঁটা মানুষের জন্য কঠিন। মুসলিম ।

 

৯. নিজের সন্তানকে উত্তম ব্যবহার শেখানো, গরীবকে শস্য দান করার চেয়েও উত্তম। মুসলিম ।

 

১০. তুমি যদি পূর্ণভাবে ভরসা করো যেমনটা করা উচিত, তাহলে তুমি অবশ্যই তোমার সব প্রয়োজন পূরণ করবেন, যেমনটা তিনি পাখিদের জন্য করেন। তারা ক্ষুধার্ত হয়ে বাসা থেকে বের হয়, কিন্তু ভরা পেট নিয়ে নীড়ে ফেরে। তিরমিজি ।

 

আরও পড়ুনঃ 

 

সেরা হাদিসের বাণী ও ইসলামের উক্তি

 

এখানে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো বেশ কিছু হাদিসের বাণী ও সেরা ইসলামের উক্তি। আশা করি এই উক্তি গুলো আপনার জীবনের জন্য কার্যকরী হবে এবং এগুলোর মাধ্যমে ঔজীবন চলার পথে অনুপ্রেরণা পাবেন। 

 

মানুষের জীবনে এমন অনেক সময় আসে যখন তারা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং আত্মহত্যার চেষ্টা পর্যন্ত করে। এই সময় কেউ যদি তার সামনে হাদিসের বানী ইসলামের উক্তিগুলো বলে তাহলে তার মনে অনুপ্রের সৃষ্টি হতে পারে। এভাবে তার জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা কেটে গিয়ে সে নতুনভাবে জীবন শুরু করতে পারে‌।

 

তাহলে চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কেমনে কিছু সেরা হাদিসের বাণী ও ইসলামিক উক্তিঃ

 

১. যে জ্ঞান অর্জনের খোজে বের হয়, সে আল্লাহর পথে বের হয়। তিরমিজি ।

 

২. তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম মানুষ তারাই যাদের আচার আচরণ সবচেয়ে ভালো। বুখারী ।

 

৩. কুরআনকে আঁকড়ে ধরলে কখনো বিপথগামী হবে না। মিশকাত ।

 

৪. একজন মুসলিম যদি গাছ লাগায় অথবা জমি চাষ করে – যেখান থেকে পশু পাখিরা খেতে পারে – তাহলে সে একটি সদকা করলো। মুসলিম ।

 

৫. কোন কাজগুলো সর্বোত্তম? – মানুষের মনে খুশির সৃষ্টি করা, ক্ষুধার্তকে খাবার দেয়া, পঙ্গু ও অসুস্থদের সাহায্য করা, দুঃখীদের দুঃখকে হালকা করা, এবং আহতকে যন্ত্রণা থেকে মুক্ত করা। বুখারী ।

 

৬. আল্লাহ তার সৃষ্টিকূল কে সৃষ্টি করার পর তাঁর আরশের ওপর লিখেছিলেনঃ নিশ্চয়ই আমার দয়া আমার ক্রোধকে প্রশমিত করবে। বুখারী ও মুসলিম ।

 

৭. সমস্ত কাজের ফলাফল নির্ভর করে নিয়তের উপর। আর প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়ত করেছে, তাই পাবে। আল হাদিস ।

 

৮. যে ব্যক্তি ঈমানের প্রকৃত স্বাদ পাইয়াছে, যে আল্লাহ তাআলাকে রব (প্রভু), ইসলামকে দীন (জীবন বিধান), এবং মোহাম্মদ সাঃ কে রাসুল হিসেবে পাইয়া সন্তুষ্ট হইয়াছে। আল হাদিস ।

 

৯. যে লোক (ইচ্ছাকৃত) সালাত কাজা করিবে সে যখন আল্লাহ তাআলার দরবারে হাজির করবে তখন আল্লাহ তাআলাকে রাগান্বিত অবস্থায় দেখিবে, অর্থাৎ তাহার হিসাব কড়াকড়ির সাথে আদায় করা হইবে। আল হাদিস ।

 

১০. দান করা প্রত্যেক মুসলমানেরই কর্তব্য কর্ম। যার দান করার সামথ্য নেই, সে যেন সৎ কার্য করে, অন্তত সে যেন অসৎ কার্য পরিহার করে চলে। এ হচ্ছে ওর পক্ষে দানের সমতুল্য। আল হাদিস ।

 

আরও পড়ুনঃ 

 

 

শেষ কথা

কুরআন ও হাদিসের বানী মানুষের জীবনকে গড়ে তুলতে পারে সুন্দর ও সুশৃংখল। মানুষ যখন কোন সমস্যায় পড়ে তখন সে যদি কুরআন ও হাদিসের দিক নির্দেশনাগুলো মেনে চলে তাহলে মুহূর্তের মধ্যে তার সমস্যা দূর হয়ে যাবে। জীবন হয়ে উঠবে সুন্দর।

 

আজ আপনাদের সামনে যে কুরআন ও হাদিসের বানীগুলো তুলে ধরেছি আশা করি এগুলো আপনাদের জীবনের জন্য কার্যকরী হবে। সময় আল্লাহ তাআলার কথা মেনে চলুন এবং তার রাসূলের দেখানো পথে চলুন। তাহলে দেখবেন জীবনে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।

 

আশা করি পোস্টটি ভালো লেগেছে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। এ ধরনের পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।  ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।