কান ফোঁড়ানোর পর ফুলে গেলে করনীয় হিসেবে কিছু সতর্কতা ও সঠিক পরিচর্যা প্রয়োজন হয় যাতে সংক্রমণ ও সমস্যা এড়ানো যায়। নাক ফোড়ানোর পর নাক শুকানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।
প্রথমত, হাত পরিষ্কার করে নিন। হাত ধোয়ার পর পরিষ্কার তুলা বা স্যালাইন ব্যবহার করে কান ও ফোঁড়ানো জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার করুন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
যদি ফোঁড়ানো জায়গা ফুলে থাকে এবং ব্যথা অনুভূত হয়, তবে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বা স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
কান ফোঁড়ানোর পর ফুলে গেলে করণীয়
ফোঁড়ানোর পর কান ফুলে গেলে করনীয় । প্রথমে হাত পরিষ্কার করে নিন। এরপর অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বা স্যালাইন দিয়ে ফোঁড়ানোর স্থান পরিষ্কার করুন। ঠান্ডা সেঁক দিতে পারেন ফুলা কমাতে। যদি সমস্যা বেশি হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
কান ফোঁড়ানোর পর করণীয়
ফোঁড়ানোর পর কানে নিয়মিত অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে স্থানটি পরিষ্কার করা উচিত। ফোঁড়ানোর জায়গা ধীরে ধীরে সেরে উঠবে। হাইপোঅ্যালার্জেনিক গহনা পরার চেষ্টা করুন। ব্যথা বা ফুলে যাওয়ার লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
নাক শুকানোর উপায়
নাক ফোঁড়ানোর পর নাক শুকানোর জন্য প্রতিদিন নাকের ফোঁড়ানোর স্থানটি নরম, পরিষ্কার কাপড় বা তুলা দিয়ে আলতোভাবে পরিষ্কার করুন। এতে সংক্রমণ রোধ হবে এবং শুকানোর প্রক্রিয়া দ্রুত হবে।
লবণ পানি দিয়ে দিনে দুইবার পরিষ্কার করুন। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং দ্রুত আরোগ্য ঘটায়।ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নাকের ফোঁড়ানোর স্থানে অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এটি জীবাণু সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
ফোঁড়ানোর পর প্রথম দিকে জুয়েলারি বা ফোঁড়ার স্থানটি বেশি নাড়াচাড়া করবেন না। এতে ক্ষত দ্রুত সেরে উঠতে পারে।ভিটামিন ই তেল লাগিয়ে আলতোভাবে ম্যাসাজ করলে শুকানোর প্রক্রিয়া দ্রুত হয়।
পর্যাপ্ত পানি পান করা খুবই জরুরি। শরীরে পর্যাপ্ত পানির অভাব হলে ক্ষত শুকানোর প্রক্রিয়া ধীরগতিতে হতে পারে।
আরও পড়তে ভিজিট করুনঃ
৪০ টি বাছাই করা জুম্মা মোবারক স্ট্যাটাস বাংলা উক্তি ও ক্যাপশন
৬০ টি বাছাই করা কুরআন হাদিসের বাণী চিরন্তনী
কান ফোঁড়ানোর পর কি কি খাওয়া যাবে না
ফোঁড়ানোর পর ফুলে গেলে করনীয়।কান ফোঁড়ানোর পর আপনার খাদ্যাভ্যাসে নজর দিন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন আমলকি, কমলা ইত্যাদি খেলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যা সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
ফোঁড়ানোর পর কান মশলাযুক্ত ও ভাজা-পোড়া খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এগুলো প্রদাহ বাড়াতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত মিষ্টি বা দুধের তৈরি খাবারও এড়িয়ে চলা ভালো, কারণ এটি ফোঁড়ার সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।
কান ফুটানোর পর পুজ হলে করণীয়
কান ফোঁড়ানোর পর ফুলে গেলে করনীয় ওকান ফুটানোর পর পুঁজ হলে, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। প্রথমে হাত পরিষ্কার করে নিন এবং সংক্রমিত স্থানে অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে পরিষ্কার করুন। তারপর কিছুক্ষণ ঠান্ডা সেঁক দিতে পারেন।
ফোঁড়ার জায়গায় ব্যথা বা পুঁজ বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন। সংক্রমণ রোধে ফোঁড়ানোর স্থানটি পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখুন এবং গহনা পরিবর্তন করুন।
নাক ফোঁড়ানোর পর ফুলে গেলে করণীয়
নাক ফোঁড়ানোর পর ফুলে গেলে প্রথমেই ঠান্ডা সেঁক দিন। এটি ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করবে। এরপর, ফোঁড়ানো স্থানটি অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে পরিষ্কার করুন। ফোলাভাব যদি কয়েক দিনের মধ্যে না কমে বা ব্যথা বাড়ে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়া, সংক্রমণ এড়াতে নাক স্পর্শ করা বা গহনা নাড়ানো থেকে বিরত থাকুন।
যদি ফোলা ও ব্যথা এক সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় বা ফোঁড়ানো স্থান থেকে পুঁজ বের হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এটি সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে এবং সঠিক চিকিৎসা প্রয়োজন।
নাক ফোঁড়ানোর পর পেকে গেলে কি কি করনীয়
নাক পেকে গেলে কি কি করনীয় নিচে উল্লেখ করা হলো:
ফোঁড়ানোর পর যদি পেকে যায়, তবে তা গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। প্রথমে সংক্রমিত স্থানটি অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে পরিষ্কার করুন এবং সম্ভব হলে গরম সেঁক দিন। পেকে যাওয়া জায়গায় হালকা করে মলম লাগাতে পারেন, যা সংক্রমণ কমাবে।
পেকে যাওয়া স্থানে প্রচণ্ড ব্যথা বা পুঁজের পরিমাণ বেড়ে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন হতে পারে। ফোঁড়ানো স্থানের চারপাশে কোনো ধাতব গহনা থাকলে তা সরিয়ে ফেলুন যাতে সংক্রমণ না বাড়ে।
আরও পড়তে ভিজিট করুনঃ
ইসলামিক স্ট্যাটাসঃ ইসলামের পথে শান্তি ও হেদায়াতের চাওয়া
শেষ কথা
কান ফোঁড়ানোর পর ফুলে গেলে করনীয় ও নাক ফোঁড়ানোর পর শুকানোর উপায় নিশ্চয়ই জেনে গেছে।কান বা নাক ফোঁড়ানোর পর সঠিক পরিচর্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফোঁড়ানোর পর যে কোনো সংক্রমণ বা সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত এবং কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। পুঁজ বা ফোলাভাব হলে, ঘরোয়া পরিচর্যা যেমন অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহারের পাশাপাশি, প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সংক্রমণ এড়াতে নিয়মিত স্থানটি পরিষ্কার রাখা, সঠিক গহনা নির্বাচন, এবং সংক্রমণজনিত লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পদক্ষেপগুলো মেনে চললে কান বা নাক ফোঁড়ানোর পরের জটিলতা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।