সবুজ প্রকৃতি নিয়ে কবিতা লিখেছেন অসংখ্য বিখ্যাত কবিগন। কবিগণ প্রকৃতিপ্রেমী হয়ে থাকে তারা প্রকৃতির প্রেমে সবুজ প্রকৃতি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কবিতা লিখে থাকে। এই কবিতাগুলো পড়তে আমাদের কার না ভালো লাগে বলুন?
সেই কবিদের মধ্য থেকে কিছু কবিদের কবিতা এখানে উল্লেখ করা হলো। এখানে আপনি পাবেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কবি জীবনানন্দ দাশ, কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ইত্যাদি বিখ্যাত কবিদের কবিতা।
তাহলে চলুন আর দেরি না করে সবুজ প্রকৃতি নিয়ে কবিতা, গ্রাম বাংলার প্রকৃতি নিয়ে কবিতা,মানুষ ও প্রকৃতি নিয়ে কবিতা, জীবনানন্দ দাশের প্রকৃতি নিয়ে কবিতা, প্রকৃতি নিয়ে কবিতা রবীন্দ্রনাথ এগুলো পড়ে নিন।
সবুজ প্রকৃতি নিয়ে কবিতা
সবুজ প্রকৃতি নিয়ে কবিতা হিসেবে কবি জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত “অঘ্রাণ” কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “আমাদের ছোট নদী” কবিতা দুটো এখানে উল্লেখ করা হলো।
আশাকরি কবিতা গুলো পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
১.
কবিতা: অঘ্রাণ
কবি: জীবনানন্দ দাশ
আমি এই অঘ্রাণেরে ভালবাসি- বিকেলের এই রং– রঙের শূন্যতা
রোদের নরম রোম- ঢালু মাঠ- বিবর্ণ বাদামী পাখি- হলুদ বিচালি
পাতা কুড়াবার দিন ঘাসে ঘাসে কুড়ুনির মুখে তাই নাই কোন কথা,
ধানের সোনার কাজ ফুরায়েছে- জীবনেরে জেনেছে সে- কুয়াশায় খালি
তাই তার ঘুম পায়- ক্ষেত ছেড়ে দিয়ে যাবে এখনই সে- ক্ষেতের ভিতর
এখনই সে নেই যেন- ঝরে পড়ে অঘ্রানের এই শেষ বিষন্ন সোনালী
তুলিটুকু- মুছে যায়- কেউ ছবি আঁকবে না মাঠে-মাঠে যেন তারপর,
আঁকিতে চায় না কেউ,- এখন অঘ্রান এসে পৃথিবীর ধরেছে হৃদয়;
একদিন নীল ডিম দেখিনি কি?- দুটো পাখি তাদের নীড়ের মৃদু খড়
সেইখানে চুপেচুপে বিছায়েছে;- তবু নীড়- তবু ডিম,- ভালোবাসা সাধ শেষ হয়
তারপর কেউ তাহা চায় নাকো- জীবনের অনেক দেয়- তবুও জীবন
আমাদের ছুটি দেয় তারপর- একখানা আধখানা লুকানো বিস্ময়
অথবা বিস্ময় নয়- শুধু শান্তি- শুধু হিম কোথায় যে রয়েছে গোপন
অঘ্রাণ খুলেছে তারে- আমার মনের থেকে কুড়ায়ে করেছে আহরণ।
২.
কবিতা: আমাদের ছোট নদী
কবি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমাদের ছোট নদী চলে আঁকে বাঁকে
বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।
পার হয়ে যায় গরু, পার হয় গাড়ি,
দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি।
চি্ক চি্ক করে বালি, কোথা নাই কাদা,
একধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা।
কিচিমিচি করে সেথা স শালিকের ঝাঁক,
রাতে উঠে থেকে থেকে শিয়ালের হাঁক।
আর-পারে আমবন তাল বন চলে,
গাঁয়ের বামুন পাড়া তারি ছায়া তলে।
তিরে তীরে ছেলেমেয়ে নাহিবার কালে
গামছায় জল ভরি গায়ে তারা ঢালে।
সকালে বিকালে কভু নাওয়া হলে পরে
আঁচলে ছাঁকিয়া তারা ছোট মাছ ধরে।
বালি দিয়ে মাজে থালা, ঘটিগুলি মাজে,
বধুরা কাপড় কেচে যায় গৃহকাজে।
আষাঢ়ে বাদল নামে, নদী ভর ভর
মাতিয়া ছুটিয়া চলে ধারা খরচের।
মহাবেগে কল কল কোলাহল ওঠে,
ঘোলা জলে পাকগুলি ঘুরে ঘুরে ছোটে।
দুই কূলে বনে বনে পড়ে যায় সাড়া,
বর্ষার উৎসবে জেগে উঠে পাড়া।
আরও পড়তে ভিজট করুনঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নজরুলের বিখ্যাত প্রেমের কবিতা
জীবনানন্দ দাশের প্রকৃতি নিয়ে কবিতা
প্রকৃতির রূপ-রং প্রত্যক্ষ করে বেড়ানো কবি হলেন কবি জীবনানন্দ দাশ। তিনি সব সময় গ্রাম বাংলার প্রকৃতি প্রত্যক্ষ করতেন। শুধু তাই নয় তিনি এই প্রকৃতির রূপ তার ছন্দ অলংকারের সংমিশ্রণ দিয়ে সাজিয়ে তুলেছেন।
তিনি আমাদের এই বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে বিশ্বের মানুষের কাছে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি তার কবিতায় বাংলার প্রকৃতিকে রূপসী বাংলা আখ্যায়িত করেছেন অনেকবার।
তাই এখানে জীবনানন্দ দাশের কবিতা উল্লেখ করা হলো আপনাদের জন্য।
৩.
কবিতা: আবার আসিব ফিরে
কবি: জীবনানন্দ দাশ
আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে- এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয় – হয়তোবা শঙ্খচিল শালিকের বেশে;
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে এসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল-ছায়ায়;
হয়তোবা হাঁস হবো – কিশোরীর – ঘুঙ্গুর রহিবে লাল পায়,
সারাদিন কেটে যাবে কলমির গন্ধ ভরা জলে ভেসে ভেসে;
আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালবেসে;
জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এই সবুজ করুন ডাঙ্গায়;
হয়তো দেখিবে চেয়ে সুদর্শন উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে;
হয়তো শুনিবে এক লক্ষীপেঁচা ডাকিতেছে শিমুলের ডালে;
হয়তো খইয়ের ধান ছড়াতেছে শিশু এক উঠানের ঘাসে;
রুপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক শাদা ছেঁড়া পালে
ডিঙ্গা বায়; – রাঙ্গা মেঘ সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে
দেখিবে ধবল বক; আমার এই পাবে তুমি ইহাদের ভীড়ে।
৪.
কবিতা: বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি
কবি: জীবনানন্দ দাশ
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ
খুঁজিতে যাই না আর, অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছে
চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড় পাতাটির নিচে বসে আছে
ভোরের দোয়েল পাখি – চারিদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তূপ
জাম – বট – কাঁঠালের – হিজলের – অশখের করে আছে চুপ;
ফনিমনসার ঝোপে শটিবনে তাহাদের ছায়া পড়িয়াছে;
মধুকর ডিঙা থেকে না জানি সে কবে চাঁদ চম্পার কাছে
এমনই হিজল – বট – তমালের নীল ছায়া বাংলার অপরূপ রূপ
দেখেছিল; বেহুলার একদিন গাঙুড়ের জলে ভেলা নিয়ে
কৃষ্ণা দ্বাদশীর জোৎস্না যখন মরিয়া গেছে নদীর চরায়-
সোনালি ধানের পাশে অসংখ্য অশ্বত্থ বট দেখেছিল, হায়,
শ্যামার নরম গান শুনেছিল – একদিন অমরায় গিয়ে
ছিন্ন খঞ্জনার মতো যখন সে নেচেছিল ইন্দ্রের সভায়
বাংলার নদী মাঠ ভাঁটফুল ঘুঙুরের মতো তার কেঁদেছিল পায়।
প্রকৃতি নিয়ে কবিতা রবীন্দ্রনাথ
প্রকৃতি প্রেমী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বিখ্যাত কবিতা হল “আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়”। আপনাদের জন্য সবুজ প্রকৃতি নিয়ে কবিতা হিসেবে এই কবিতাটি লিখে দেওয়া হল।
৫.
কবিতা: আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
কবি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
লুকোচুরির খেলা।
নীল আকাশে কে ভাসালে
সাদা মেঘের ভেলা।
আজ ভ্রমর ভোলে মধু খেতে,
উড়ে বেড়ায় আলোয় মেতে,
আজ কিসের তরে নদীর চরে
চখাচখির মেলা।
ওরে যাবো না আজ ঘরে রে ভাই,
যাবোনা আজ ঘরে!
ওরে আকাশ ভেঙে বাহিরকে আজ
নেব রে লুঠ করে।
যেন জোয়ার জলে ফেনার রাশি
বাতাসে আজ ফুটেছে হাসি,
আজ বিনা কাজে বাজিয়ে বাঁশি
কাটবে সারা বেলা।
গ্রাম বাংলার প্রকৃতি নিয়ে কবিতা
সবুজ প্রকৃতি নিয়ে কবিতা ও গ্রাম বাংলার প্রকৃতি নিয়ে কবিতা হিসেবে কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের “ঝর্নার গান” ও “ফুলের ফসল” এ দুটি কবিতা দেওয়া হল।
৬.
কবিতা: ঝর্নার গান
কবি: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
চপল পায় কেবল ধাই,
কেবল গায় পরীর গান,
পুলক মোর সকল গায়,
বিভোল মোর সকল প্রাণ।
শিথিল সব শিলার পর
চরম থুই দোদুল মন,
দুপুর-ভোর ঝিঁঝিঁর ডাক,
ঝিমায় পথ, ঘুমায় বন।
বিজন দেশ, কুজন নাই।
নিজের পায় বাজাই তাল,
একলা গাই, একলা নাই,
দিবস রাত, সাঁঝ সকাল।
ঝুকিয়ে ঘাড় ঝুম- পাহাড়
ভয় দ্যাখায়, চোখ পাকায়;
শঙ্কা নাই সমান যাই,
টগর-ফুল-নূপুর পায়,
কোন গিরির হিম ললাট
ঘামল মোর উদ্ভবে,
কোন পরীর টুটুল হার
কোন নাচের উৎসবে।
খেয়াল নাই – নাই রে ভাই
পাইনি তার সংবাদই,
ধাই লিলাই – খিলখিলাই
বুলবুলি বোল সাধি।
বন-ঝাউয়ের ঝোপগুলায়
কালসারের দল চরে
শিং শিলাই-শিলার গায়,
ডালচিনির রং ধরে।
ঝাঁপিয়ে যাই, লাফিয়ে ধাই,
দুলিয়ে যাই অচল-ঠাঁট,
নাড়িয়ে যাই বাড়িয়ে যাই-
টিলার গায়ে ডালিত-ফাট।
শালিক শুক বুলাই মুখ
থল- ঝাঁঝির মখমলে,
জরির জাল আংরাখায়
অঙ্গ মোর ঝলমলে।
নিম্নে নাই, শুনতে পাই
‘ফটিক জল।’ হাঁকছে কে,
কণ্ঠাতেই তৃষ্ণা যার
নিক না সেই ফাঁক ছেঁকে।
গরজ যার জল স্যাঁচার
পাতকুয়ায় যাক না সেই,
সুন্দরের তৃষ্ণা যার
আমরা ধাই তার আগেই।
তার খোঁজেই বিরাম নেই
বিলাই তান-তরল শ্লোক,
চকর চায় চন্দ্রমায়,
আমরা চাই মুগ্ধ-চোখ।
চপল পায় কেবল ধাই
উপল ঘায় দিই ঝিলিক,
দুল দোলাই মন ভোলায়,
ঝিলমিলাই দিগ্মিদিক।
৭.
কবিতা: ফুলের ফসল
কবি: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
জোটে যদি মোটে একটি পয়সা
খাদ্য কিনিয়ো ক্ষুধার লাগি’
দুটি যদি জোটে অর্ধেকে তার
ফুল কিনে নিয়ো, হে অনুরাগী!
বাজারে বিকায় ফল তন্ডুল
সে শুধু মিটায় দেহের ক্ষুধা,
হৃদয়-প্রাণের ক্ষুধা নাশে ফুল
দুনিয়ার মাঝে সেই তো সুধা!
মানুষ ও প্রকৃতি নিয়ে কবিতা
সবুজ প্রকৃতি নিয়ে কবিতার লিখতে গিয়ে এখানে মানুষ ও প্রকৃতির নিয়ে কবিতা উল্লেখ করা হলো। এখানে কবি জীবনানন্দ দাশ এর দুটি বিখ্যাত কবিতা “তোমার স্বপ্নের হাতে” ও “একদিন জলসিঁড়ি নদীর ধারে” আপনাদের জন্য দেয়া হলো।
কবিতা: তোমার স্বপ্নের হাতে
কবি: জীবনানন্দ দাশ
তোমরা স্বপ্নের হাতে ধরা দাও- আকাশের রোদ্র ধুলো ধোঁয়া থেকে স’রে
এইখানে চ’লে এসো; পৃথিবীর পথে আমি বহুদিন তোমাদের কথা
শুনিয়াছি- তোমাদের লাল মুখ দেখিয়াছি- তোমাদের ক্লান্ত রক্তাক্ততা
দেখিয়াছি কত দিন- ব্যথিত ধানের মত বুক থেকে পড়িতেছে ঝরে
তোমাদের আশা-শান্তি, লাল মেঘে সোনালী চিলের মত কলরব ক’রে
মিছে কেন ফেরো, আহা- পৃথিবীর পর থেকে হে বিষন্ন, হে ক্লান্ত জনতা
তোমরা স্বপ্নের ঘরে চ’লে এসো- এখানে মুছিয়া যাবে হৃদয়ের ব্যথা
সুন্দর বকের মতো চ’লে এসো ধূসর স্তনের মতো
চারিদিকে রাত্রি দিন কলরব ক’রে যাই দাঁড় কাক বাদুড়ের মতো
পৃথিবীর পথে ওই সেখানে- কি ক’রে তবে শান্তি পাবে মানুষ বলো তো?
এখানে গোধূলি নষ্ট হয় নাকো কোনদিন;- কয়লার মতো রং-ম্লান
পশ্চিমের মেঘে ওই লেগে আছে চিরদিন; কড়ির মতন শাদা করুন উঠান
প’ড়ে আছে চিরকাল; গোধূলি নদীর জলে রূপসীর মত তার মুখখানা দেখে
ধীরে- ধীরে- আরো ধীরে শান্তি ঝরে, স্বপ্ন ঝরে আকাশের থেকে।
কবিতা: একদিন জলসিড়ি নদীর ধারে
কবি: জীবনানন্দ দাশ
একদিন জলসিড়ি নদীটির পারে এই বাংলার মাঠে
বিশীর্ণ বটের নিচে শুয়ে রব- পশমের মতো লাল ফল
ঝরিবে বিজন ঘাসে-বাঁকা চাঁদ জেগে রবে- নদীটির জলে
বাঙ্গালি মেয়ের মতো বিশালাক্ষী মন্দিরের ধূসর কপাটে
আঘাত করিয়া যাবে ভয়ে ভয়ে-তারপর যেই ভাঙ্গা ঘাটে
রূপসীরা আজ আর আসে নাকো, পাট শুধু পচে অবিরল,
সেখানে কলমির দামে বেধে প্রেতনির মতো কেবল
কাঁদিবে সে সারারাত-দেখিবো কখন কারা এসে আমকাঠে।
সাজায়ে রেখেছে চিতাঃ বাংলার শ্রাবণের বিস্মিত আকাশ
চেয়ে রবে; ভিজে পেঁচা শান্ত স্নিগ্ধ চোখ মেলে কদমের বনে
শোনাবে লক্ষ্মীর গল্প-ভাসানের গান নদী শোনাবে নির্জনে;
চারিদিকে বাংলার ধনী শাড়ি-শাদা শাখা-বাংলার ঘাস
আকন্দ বাসকলতা ঘেরা এক নীল মঠ-আপনার মনে
ভাঙ্গিতেছে ধীরে ধীরে-চারিদিকে জীবনের এই সব আশ্চর্য উচ্ছ্বাস-
শেষ কথা
আজকে আমরা সবুজ প্রকৃতি নিয়ে কবিতা হিসেবে আপনাদের জন্য বেশ কয়েকটি কবিতা এখানে উল্লেখ করেছি। আশা করি কবিতা গুলো আপনাদের ভালো লাগলো। কবিতাগুলো ভালো লেগে থাকলে নিশ্চয়ই অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন।
আমাদের পোস্ট সম্পর্কে কোন কিছু বলার থাকলে অবশ্যই নিচের কমেন্ট বক্সে লিখবেন। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পোস্ট আপডেট পেতে আমাদের সাইটের সাথেই থাকুন।
আজ এ পর্যন্তই। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।।