মেয়েদের-নাক-কান-ফোঁড়ানোর-হাদিস

মেয়েদের নাক কান ফোঁড়ানোর হাদিস জেনে নাক কান ফোঁড়ান

। মেয়েদের নাক কান ফোঁড়ানোর হাদিস।ইসলামিক শাস্ত্র অনুযায়ী মেয়েদের নাক ও কান ফোঁড়ানো অনুমোদিত এবং এটি ইসলামের সুন্নত হিসেবে বিবেচিত। নাক ও কান ফোঁড়ানোর হাদিসগুলি থেকে বোঝা যায় যে এটি সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ও ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে অনুমোদিত। 

 

নাক ও কান ফোঁড়ানো মুসলিম সমাজে একটি প্রচলিত ও গ্রহণযোগ্য প্রথা এবং এটি শরিয়তের আলোকে বৈধ।

মেয়েদের নাক কান ফোঁড়ানোর হাদিস

 

মেয়েদের নাক কান ফোঁড়ানোর হাদিস একটি হাদিস বলা হয়েছে যে, হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, “আল্লাহর রাসুল (সাঃ) আমার নাক ও কান ফোঁড়ানো অনুমোদন দিয়েছেন।” । এছাড়া অন্যান্য হাদিসেও মেয়েদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নাক ও কান ফোঁড়ানোকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

 

তবে ইসলামের আলোকে মেয়েদের নাক কান ফোঁড়ানো ফরজ বা বাধ্যতামূলক নয় । এটি সুন্নত এবং ঐচ্ছিক একটি কাজ। যদি কেউ চায়, সে নাক ও কান ফোঁড়াতে পারে। আর যদি না চায়, তবে না করলেও কোনো গুনাহ হবে না। 

 

সর্বপ্রথম কোন নারীর কান ছিদ্র করা হয়েছিল?

 

ইসলামী ঐতিহ্যে, হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর স্ত্রী, হযরত হাজেরা (আঃ) কে প্রথম নারীরূপে কান ফোঁড়ানো হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। তবে এই বিষয়ে নির্দিষ্ট ও সহীহ কোনো হাদিস নেই যা নিশ্চিতভাবে বলে যে, হযরত হাজেরা (আঃ) ছিলেন প্রথম নারী যার কান ছিদ্র করা হয়েছিল। 

 

ইসলামের ইতিহাসে এই বিষয়টি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঐতিহ্যগতভাবে প্রাসঙ্গিক এবং এটি সমাজের একটি প্রথা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ইসলামী শরীয়তে কানের ছিদ্র করা বৈধ এবং এটি নারী ও শিশুদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অনুমোদিত।

 

বিউটি পার্লারে নাক ফোঁড়ানো

 

ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে, নাক ফোঁড়ানো যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে করা হয় এবং এতে কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে তা অনুমোদিত। তবে যেহেতু বিউটি পার্লারে নাক ফোঁড়ানো সাধারণত একটি সৌন্দর্যবর্ধক কাজ হিসেবে করা হয়। তাই পার্লারে কান ফোঁড়ানো অর্থাৎ কান ছেদন এটি বৈধ।

 

তবে  বিউটি পার্লারে নাক কান ফোঁড়ানোর ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। যেমন: নাক ফোঁড়ানোর সময় অবশ্যই স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত। সংক্রমণ এড়ানোর জন্য জীবাণুমুক্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা অতি আবশ্যক একটি বিষয়।

 

এছাড়াও  যদি কোনো বিউটি পার্লারে নাক ফোঁড়ানো হয়, আর সেখানে পুরুষ কর্মচারী থাকে তাহলে নারীদের জন্য সেখান থেকে সেবা নেওয়া ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনুচিত হতে পারে। তাই শুধু নারীদের দ্বারা পরিচালিত পার্লার থেকে সেবা নেওয়া উচিত।

 

নাক ফোঁড়ানোতে যদি খুব বেশি ব্যথা বা কোনো ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে, তাহলে সেটি পরিহার করাই ভালো।

 

নাক কান ফোঁড়ানো মূলত সামাজিক এবং ঐতিহ্যগত একটি বিষয়। শরীয়তের দৃষ্টিতে যদি সব শর্ত মেনে করা হয়, তবে বিউটি পার্লারে নাক ফোঁড়ানোতে কোনো সমস্যা নেই।

আরও পড়তে ভিজিট করুনঃ 

ইসলামিক

৪০ টি বাছাই করা জুম্মা মোবারক স্ট্যাটাস বাংলা উক্তি ও ক্যাপশন

 

নাক ফোঁড়ানো in english 

 

নাক ফোঁড়ানোর ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Nose Piercingকান ফোঁড়ানোর মাধ্যমে মেয়েদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয়। তাইতো মেয়েরা এই সৌন্দর্যবর্ধক কাজটি করতে পছন্দ করে।

 

তবে অনেক মেয়ে এরকমও আছে যারা কান ও নাক ফোঁড়ানোর ব্যথা সহ্য করতে পারবে না বলে নাক কান ফুটা করতে চায়না। এটি যেহেতু ফরজ কাজ নয় তাই যে কেউ ইচ্ছামত কান ফোটাতে পারে অথবা নাও পারে। এতে কোন বাঁধা নেই।

 

মেয়েদের কান ছিদ্র করা কি জায়েজ?

 

হ্যাঁ, ইসলামে মেয়েদের কান ছিদ্র করা জায়েজ (বৈধ)। এটি একটি সুন্নত হিসেবে বিবেচিত হয় এবং মেয়েদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এটি অনুমোদিত। 

 

এটি একটি প্রচলিত প্রথা এবং ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ একটি কাজ। তাইতো মেয়েরা নিজেদের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য কান ছিদ্র করতে পারে কোন সমস্যা ছাড়াই।

 

ছেলেদের কান ছিদ্র করা কি জায়েজ?

 

ইসলামে ছেলেদের জন্য কান ছিদ্র করা সাধারণত নিরুৎসাহিত করা হয় । এবং এটি ইসলামের রীতিনীতি ও সংস্কৃতির সাথে মানানসই নয়। 

 

এটি মূলত মেয়েদের জন্য সংরক্ষিত একটি প্রথা হিসেবে দেখা হয়, তাই ছেলেদের জন্য এটি অনুচিত বলে বিবেচিত হয়। এজন্য ছেলেদের কান ছিদ্র করা উচিত নয়।

 

ইসলামে কি মেয়েদের নাক ছিদ্র করা যায়?

 

হ্যাঁ, ইসলামে মেয়েদের নাক ছিদ্র করা জায়েজ। এটি মূলত ঐতিহ্যবাহী ও সাংস্কৃতিক একটি প্রথা। এটি ইসলামে অনুমোদিত। তবে এটি ফরজ নয়।  অর্থাৎ এটি বাধ্যতামূলক নয়।  বরং ঐচ্ছিক একটি কাজ।

 

মেয়েদের কানে একের অধিক ফোটা করার ব্যপারে ইসলাম কি বলে?

 

মেয়েদের কানে একের অধিক ফোটা (যেমন একাধিক ছিদ্র) করার বিষয়ে ইসলাম স্পষ্টভাবে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। এটি ঐচ্ছিক এবং ব্যক্তিগত পছন্দের ওপর নির্ভর করে। 

 

যদি এটি সৌন্দর্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এবং সমাজের গ্রহণযোগ্যতার মধ্যে থাকে, তবে এটি বৈধ।  যেকোনো কিছুতেই অতিরিক্ততা পরিহার করা উত্তম। ইসলাম মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে উৎসাহিত করে।

 

এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং পারিবারিক ঐতিহ্যও বিবেচনা করা যেতে পারে।

আরও পড়তে ভিজিট করুনঃ 

৬০ টি বাছাই করা কুরআন হাদিসের বাণী চিরন্তনী

ইসলামিক স্ট্যাটাসঃ ইসলামের পথে শান্তি ও হেদায়াতের চাওয়া

শেষ কথা

 

মেয়েদের নাক কান ফোঁড়ানোর হাদিস নিয়ে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এখান থেকে আপনি সঠিক তথ্য পেয়ে গেছেন।

মেয়েদের কান ছিদ্র করা জায়েজ।   এটি একটি প্রচলিত প্রথা। ছেলেদের কান ছিদ্র করা সাধারণভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়।  এটি ইসলামের সংস্কৃতির সাথে মানানসই নয়।

 

মেয়েদের নাক ছিদ্র করাও জায়েজ।  তবে এটি ফরজ নয় বরং ঐচ্ছিক।মেয়েদের কানে একাধিক ছিদ্র করা ইসলামে নির্দিষ্ট কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।   এটি মধ্যপন্থী হওয়া উচিত এবং ব্যক্তিগত পছন্দের ওপর নির্ভর করে।

 

এই বিষয়গুলো মেনে চললে ইসলামী রীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা সম্ভব।