বিড়াল নিয়ে কবিতা

বিড়াল নিয়ে কবিতা

আজকে আমাদের লেখাটি শুরু করছি বিড়াল নিয়ে কবিতা দিয়ে । যারা বিড়াল পছন্দ করেন এবং বাড়িতে বিড়াল পালন করেন । আপনাদের নিশ্চয়ই বিড়াল সম্পর্কে লেখা কবিতা গুলো বেশ ভালো লাগবে।।

আপনি যদি আপনার আদরের বিড়াল ছানা নিয়ে কবিতা পড়তে আগ্রহী থাকেন তাহলে আমাদের আজকের পোস্টটি পড়ে নিন। আপনার আদরের ছেলে-মেয়েদেরকে কবিতা গুলো পড়ে শুনাতে পারেন। 

বিড়াল খুব মিষ্টি ও আদরের প্রাণী। বিড়াল নিয়ে অনেক কবি অনেক কবিতা লিখে গেছেন। এখানে বেশ কিছু কবিতা দেওয়া হলোঃ 

বিড়াল নিয়ে কবিতা

কবি দীপঙ্কর রায় চৌধুরী বিড়ালকে নিয়ে কবিতা লিখতে গিয়ে খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। এখানে আপনাদের জন্য বিড়াল নিয়ে লেখা কবিতাটি দেওয়া হলোঃ

কবিতা – একটা বিড়াল 

কবি – দীপঙ্কর রায় চৌধুরী

একটা বিড়াল উল্টে দিল সকল ঘটিবাটি

সকালবেলা মহারাজার নাস্তা খাওয়া মাটি।

টেবিল জুড়ে গেলাস ছিল সুপের বাটির পাশে

গেলাসগুলো উল্টে দিয়ে বিড়াল ব্যাটা হাসে।

শব্দ শুনে সান্ত্রী সেপাই বাঁধায় গন্ডগোল

বিড়াল তখন রান্নাঘরে চাচ্ছে মাছের ঝোল।

ঠিক তখনই পেতলা আটে মহারাজের খুড়ো

দরজা দিয়ে নিজের ঘরে চিবুন মাছের মুড়ো।

বারান্দাতে চলছে তখন হলুদ মরিচ বাটা

সামনে দিয়ে বিড়াল পালায় হাত নেড়ে কয় টাটা।

টাটা টাটা টাটা টাটা টাটা টাটা টাটা টাটা……।

বিড়াল নিয়ে আরও পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

বিড়ালের খাবার তালিকা থেকে পুষ্টি চাহিদা পূরণের বিস্তারিত তথ্য

ইসলামিক বিড়ালের নাম || ছেলে ও মেয়ে বিড়ালের সুন্দর নাম

বিড়াল একটি প্রেমময় প্রাণী বিড়াল এর বৈশিষ্ট্য, খাদ্যাভাস, বাসস্থান ও অন্যান্য তথ্য

বিড়ালের চোখের সমস্যা ও তার প্রতিকার, সাথে ঘরোয়া কার্যকরী সমাধান

 

বিড়াল নিয়ে মজার কবিতা

এখানে আপনার জন্য বিড়াল দিয়ে মজার কবিতা হিসেবে একটি কবিতা দেয়া হলো। এই কবিতায় কবি বিড়ালের আচরণকে মজার ভাবে তুলে ধরেছেন। কবিতাটি পড়ুন এবং উপভোগ করুন।

কবিতা – বিড়াল নিয়ে বিড়ম্বনা 

কবি – দেবব্রত দত্ত

কিরে নগেন, তোর সে বাড়ির বিড়ালের উৎপাত

এখন তেমন করছে না তো?

খাচ্ছে না মাছ ভাত?

আর বলো না, যতবারই বিড়াল আসি ছেড়ে

ততবারই সঙ্গে করে চারটে নিয়ে ফেরে।

এইতো সেদিন বিড়ালটাকে রিকশ করে নিয়ে

ঘুরে এলাম ঘণ্টা তিনেক এদিক ওদিক দিয়ে।

শেষকালে তে হারিয়ে ফেলি রাস্তা আমি নিজে

বিড়াল নিয়ে বিড়ম্বনার সমস্যাটা কি যে

কি করি আর তখন আমি ফিরতে নিজের বাড়ি

যে বিড়ালকে ছেড়ে এলাম পিছু নিলাম তারই ।

বিজ্ঞ বিড়ালের কবিতা

একটি বিড়াল তার মালিকের সাথে যে ধরনের কথা বলতে চাই সেই কথাগুলো নিয়ে সাজানো সুদীপ্ত ঘোষ এর এই কবিতাটি নিশ্চয়ই আপনাদের ভালো লাগবে।

তাহলে চলুন “বিজ্ঞ বিড়ালের কথা” কবিতাটি পড়ে নিন।

কবিতা – বিজ্ঞ বিড়ালের কথা

কবি – সুদীপ্ত ঘোষ

বিজ্ঞ বিড়াল এসে বলে, মালিক, কথা আছে।

একটু খাবার খেয়ে আমার কেমনে প্রাণ বাঁচে?

তোমরা খাও তো মাছ ভাজা টি, আমার বেলায় কাটা!

দুধের পাত্রে মারলে উকি, গিন্নী দেখায় ঝাঁটা।

সারাটা রাত পাহারা দিই ইঁদুর ভয়ে থাকে

তখন ঘরে মানুষজনে ঘর ঘর নাক ডাকে।

ইঁদুর যদি নাহি ধরি, কাটবে কাপড় জামা

বাড়ির যত খাবার খেয়ে, ঘষবে মুখে ঝামা।

তাই অনুরোধ, ডেকো আমায় আদর করে পুষি

দুধ মাখিয়ে, মাছ ভাত দিয়ে কর একটু খুশি।

বিড়াল নিয়ে আরও পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

বিড়ালের বয়স বোঝার উপায় || ৬ টি সহজ উপায়ে

বিড়ালের জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে

বিড়াল সম্পর্কে ১০টি বাক্য || বিড়াল নিয়ে উক্তি 

 

বিড়াল ছানা  কবিতা

কবি কুসুম কুমারী দাশ বিড়াল নিয়ে কবিতা হিসেবে বিড়াল ছানা কে নিয়ে কবিতা লিখেছেন। “খোকার বিড়াল ছানা” কবিতাটি আপনি আপনার ছোট্ট সোনামণিকে পড়ে শোনাতে পারেন। দেখবেন সে খুব আনন্দ পাবে।

তাহলে আর দেরি না করে কবিতাটি পড়ে নিন।

কবিতা – খোকার বিড়াল ছানা

কবি – কুসুমকুমারী দাশ

সোনার ছেলে খোকামণি, তিনটি বিড়াল তার,

একদন্ড নাহি তাদের করবে চোখের আড় ।

খেতে শুতে সকল সময় থাকবে তারা কাছে,

না হ’লে কি খোকা মণির খাওয়া দাওয়া আছে?

এত আদর পেয়ে বিড়ালছানাগুলি,

দাদা, দিদি, মাসি, পিসি, সকল গেছে ভুলি ।

সোনামুখী, সোহাগিনী, চাঁদের কণা ব’লে

ডাকে খোকা ছানাগুলি, যায় আদরে গলে ।

“সোনামুখী” সবার বড় খোকার কোলে বসে,

“সোহাগিনী” ছোট যেটি বসে মাথার পাশে ।

মাঝখানেতে মানে মানে বসে’ “চাঁদের কণা”

একে একে সবাই কোলে করবে আনাগোনা ।

হুলো বিড়াল কবিতা

বিড়াল নিয়ে কবিতা লিখতে গিয়ে কবি পূর্ণেন্দু পত্রী হুলো বেড়াল নামে একটি কবিতা লিখেছেন। এই কবিতাটি আপনাদের জন্য দেওয়া হলো।

কবিতাটি পড়ুন এবং উপভোগ করুন।

কবিতা – হুলো বেড়াল

কবি – পূর্ণেন্দু পত্রী

ভুলো বাবুদের হুলো বেড়ালটা

সত্যি বলছি

রাক্ষুসে।

এক গ্রাসে খেলো সাত কিলো মাছ

সেদিন দেখেছি 

চাক্ষুসে।

এক্ষুনি ওকে ঝাঁটা পিটে তাড়া

তুলোবাবু হাঁকে

নাক ফুঁসে।

তুলোবাবু  কন, ও বৃন্দাবন,

পুষিমণিটাকে 

রাখো পুষে।।

বিড়াল নিয়ে আরও পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

বিড়ালের পায়খানা না হলে করনীয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানুন

বিড়ালের উকুন দূর করার উপায় সম্পর্কে সহজেই জেনে নিন

শীতকালে বিড়ালের যত্নের জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা

কালো বিড়াল নিয়ে কবিতা

কালো বিড়াল নিয়ে কবিতা লিখেছেন কবি রামপ্রসাদ কর। মজার এই কালো বিড়াল কবিতাটি পড়ে নিশ্চয়ই আপনি মজা পাবেন। তাহলে পড়ে নিন কবি রামপ্রসাদ এর “কালো বিড়াল” কবিতাটি।

কবিতা – কালো বিড়াল

কবি – রামপ্রসাদ কর

এক আকাশ অন্ধকার মাথায়

নিয়ে বসে আছে একটা কালো বিড়াল

চারিদিকে গা ছমছমে নীরবতা

আর হাড় হিম করা অন্ধকার ।

সেই কবে থেকে বসে আছে

বিড়ালটা, সমস্ত কালো নিভে

কেমন করে কালো কার্বনের 

মতো অন্ধকার নামল

অফিস পাড়ায় – সব দেখেছে সে ।

বাতাসে ভারী পর্দা দুলে ওঠে

সিঁড়িতে কাদের আনাগোনা!

কাঁটা চামচ আর কাপ প্লেটের

ঝনঝন শব্দ,

করিডোরে পাতাবাহার গাছেরা

লজ্জায় শুকিয়ে কাঠ,

__ কোন উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের

পদস্খখলন হলো বুঝি ।

দমকা হাওয়ায় ঘরের আলো

এক এক করে নিভছে,

খোলা ফাইলের পাতাগুলো

সামনে – পিছনে, ডাইনে – বাঁয়ে

উড়ছে, কে যেন

‘সৎভাবনা’  ‘স্বচ্ছতা’ ইত্যাদি শব্দ

লেখা কাগজ গুলো বাস্কেটে 

ছিঁড়ে ফেলে দিচ্ছে ।

একেবারে কনের ঘরের

দেওয়ালের ঈশান কোণে খালি পায়ে,

খালি পায়ে, হাতে লাঠি, গোল চশমা পরা

এক বৃদ্ধ কে নড়েচড়ে 

উঠতে দেখে বিড়ালটা

ভাবল এবার বোধহয় 

তার চলে যাওয়ার 

সময় এসেছে ।

বিড়াল নিয়ে আরও পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

বিড়ালের ঠান্ডার ঔষধ || বিড়ালের ঠান্ডা লাগলে করণীয়

বিড়াল নিয়ে ক্যাপশন বাংলা ও ইংরেজি

বিড়ালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন 

শেষ কথা 

বিড়াল নিয়ে কবিতা পড়ার জন্য অনেকেই আগ্রহী থাকে। যারা আগ্রহী ছিলেন এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছিলেন, তারা নিশ্চয়ই কবিতাগুলো উপভোগ করেছেন।

আপনি যদি সবগুলো কবিতা সুন্দর ভাবে পড়ে থাকেন তাহলে আপনার মনটা নিশ্চয়ই ভালো হয়ে যাবে। বিড়াল এমন একটি প্রাণী যে সব মানুষকেই আকর্ষণ করতে পারে। বিভিন্ন কবিরা বিড়াল সম্পর্কে কবিতা লিখেছেন। এই কবিতা গুলো মানুষকে আনন্দ দিয়ে থাকে।

আপনার যদি কবিতা গুলো ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধু বান্ধবী এবং অন্যান্যরা যারা বিড়াল পছন্দ করে তাদের সাথে শেয়ার করুন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।