বিড়ালের কৃমির ঔষধের নাম — তাহলে চলুন শুরু করা যাক বিড়ালের কৃমি হলে করণীয় কি। বিড়ালের কৃমি হলে আমরা সাধারণত মেলফিন, আলভিন, delentine খাওয়াতে পারি। কেননা এই ঔষধ গুলো খুবই সহজলভ্য। তাই বিড়ালের কৃমির ঔষধ হিসেবে এগুলো খাওয়ানো যেতে পারে।
বিড়ালের কৃমির ঔষধ ও কৃমি হওয়ার কারণ
বিড়ালের কৃমির ঔষধের নাম, বিড়ালের কৃমির ঔষধ সম্পর্কে জানার আগে কৃমি কেন হয় তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাণিজগতের সব কিছুরই কৃমি হয়ে থাকে। বিড়ালের কৃমি থেকে রক্ষা পেতে প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর কৃমির ঔষধ খাওয়াতে হবে। বিড়ালের কৃমির ঔষধের নাম, বিড়ালের কৃমি যেন না হয় এবং বিড়ালের কৃমির ঔষধ যেন খাওয়াতে না হয় সেজন্য বিড়ালকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বিড়ালের বাসস্থান শুষ্ক ও পরিষ্কার রাখতে হবে। সাধারণত স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে বিড়ালের কৃমি হয়। শুধু বিড়াল নয় স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে সকল প্রাণীর কৃমি হয়ে থাকে।
বিড়ালের কৃমি হওয়ার কারণগুলো হলোঃ
১. কৃমির ডিম যুক্ত মলের মাধ্যমে বিড়ালের কৃমি হতে পারে।
২. কৃমির ডিম যুক্ত মাটি এবং গাছ খাওয়ার মাধ্যমে কৃমি হতে পারে।
৩. বিড়ালের গায়ে যদি Flea থাকে এবং তা পাকস্থলীতে যায় তাহলে কৃমি হতে পারে ।
৪. ইঁদুর শিকার করে খেলে বিড়ালের কৃমি হতে পারে।
৫. মা বিড়ালের যদি কৃমি থাকে তাহলে তার দুধ খেলে বাচ্চা বিড়ালের হতে পারে।
বিড়াল নিয়ে আরও পোড়তে নিচের লিঙ্কে ভিজিট করুন
বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ || ডিপথেরিয়া রোগের কারণ
বিড়ালের কৃমির ঔষধের নাম এবং বিড়ালের কৃমির প্রকারভেদ
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়? সঠিক তথ্য
বিড়ালের চোখের সমস্যা ও তার প্রতিকার, সাথে ঘরোয়া কার্যকরী সমাধান
বিড়ালের কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর নিয়ম
বিড়ালের কৃমিউ ঔষধ খাওয়ানোর নিয়ম সাধারণত ঔষধের গায়ে লেখা থাকে। তারপরেও বলে দিচ্ছি বিড়ালের বয়স যদি পাঁচ মাসের কম থাকে তাহলে তাকে 1ml করে খাওয়াবেন। বয়স পাঁচ মাসের উপরে হইলে তাকে 5ml করে খাওয়াবেন।
বিড়ালের কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর পদ্ধতি
বিড়ালের কৃমির ঔষধের নাম , বিড়ালের কৃমির ঔষধ খাওয়াতে কিছু ইনস্ট্রাকশনের প্রয়োজন এবং ইন্সটলমেন্টের প্রয়োজন।
১. একটি সিরিজ/অথবা একটি টপার
২. একটি কাপ
এখন বিড়ালকে কৃমির ঔষধ খাওয়াতে বোতলটি ভালোমতো ঝাঁকিয়ে নিন। এখন ঔষধগুলো থেকে অল্প কিছু ঔষধ কাপে ঢেলে নিন। এবার বিড়ালের বয়স পাঁচ মাস হইলে সেদিন যে 5ml পর্যন্ত ঔষধ তুলুন। এখন বিড়ালকে আস্তে আস্তে তার মুখে ভেতরে দিতে থাকুন।
বিড়ালের কৃমি হলে যে বেসিক সিম্পটম গুলো হয় সেগুলো আমি বলে দিচ্ছি।
১. বিভিন্ন প্রকার অসুস্থতা দেখা দিবে
২. বেশি বেশি বমি করবে
৩. পাতলা পায়খানা হবে
৪. তাদের ফেসে বা পশমে যে শাইনি ভাব থাকে সেটা থাকবে না
৫. বিড়ালের লোমগুলো এলোমেলো দেখাবে এবং বিড়ালকেও রোগা দেখাবে
৬. বিড়ালের ওজন কমতে থাকবে
বিড়ালের এই সিম্পটম গুলো কিন্তু কৃমি হওয়ার লক্ষণ হিসেবে সুপরিচিত। আর যদি হচ্ছে যে বমিটা হলুদ কালারের হয় সেক্ষেত্রে এটা কে তু হিসেবে ধরে নিতে হবে। আরে অবস্থায় দেরি না করে একজন ভেটেনারি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন।
কারণ ফ্লুর জন্য বিড়াল মারা যেতে পারে। তাই আপনি যদি নিয়মিত বিড়ালের কৃমির ঔষধের যে কোর্স সেটা মেনটেইন করেন তাহলে কৃমি রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
বিড়াল নিয়ে আরও পোড়তে নিচের লিঙ্কে ভিজিট করুন
বিড়ালের কাশি হলে করণীয় সম্পর্কে জানুন
বিড়ালের বমি হলে করণীয় ঘরোয়া চিকিৎসা
বিড়ালের ঠান্ডার ঔষধ || বিড়ালের ঠান্ডা লাগলে করণীয়
বিড়াল একটি প্রেমময় প্রাণী বিড়াল এর বৈশিষ্ট্য, খাদ্যাভাস, বাসস্থান ও অন্যান্য তথ্য
এছাড়াও বিড়ালের আরো অন্যান্য রোগ আছে এবং আপনি যদি আপনার বিড়ালকে এই রোগগুলো থেকে মুক্ত রাখতে না পারেন তাহলে আপনার নিজেরও ভেতরে এ রোগ গুলো দেখা দিতে পারে। বিড়ালির অনেক রোগী আছে ছো আছে যা বিড়াল থেকে মানুষের শরীরে চলে আসতে পারে।
সুতরাং বুঝতেই পারছেন বিড়ালকে সঠিক সময়ে ঔষধ খাওয়ানো কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
আচ্ছা এখন আসা যাক বিড়ালের কয়েকটি কৃমির ঔষধ নিয়ে.
বিড়ালের কৃমির ঔষধের নামের তালিকা
১.Alben Ds Tablet
Albendazole
400mg
SKF pharma
২.Solas
Mebendazole
100mg
Opsonin Pharma
3.Solas oral Suspension
Mebendazole
Opsonin Pharma
30ml
বিড়াল নিয়ে আরও পোড়তে নিচের লিঙ্কে ভিজিট করুন
বিড়াল নিয়ে ক্যাপশন বাংলা ও ইংরেজি
বিড়ালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
ইসলামিক বিড়ালের নাম || ছেলে ও মেয়ে বিড়ালের সুন্দর নাম ||
Delentin
বিড়ালের বয়স দুই মাসের বেশি হলে Delentin করে খাওয়ানো যাবে। মনে রাখতে হবে বিড়ালের বয়সের তুলনায় যদি ওজন কম হয় তাহলে শূন্য দশমিক ৬০ এম এল করে খাওয়াতে হবে। এই বিড়ালের তিমির ঔষধ টি শুধুমাত্র গোলকৃমি দূর করে।
Almex
যদি আপনার বিড়ালের কৃমি হয় তাহলে আপনি এই ওষুধটি খাওয়াতে পারেন। বিড়াল এই বিড়ালের কৃমির ঔষধটি স্কয়ার ফার্মা কোম্পানির একটি ঔষধ। বিড়ালের কৃমির ঔষধের নাম, বিড়ালের কৃমির ঔষধটি প্রতি তিন মাস পর পর খাওয়াতে হবে। বিড়ালের বয়স এক বছর হলে ফোর ইমেল খাওয়াবেন। বিড়ালের বয়স ২ মাস হলে এক দুই এম এল খাওয়াবেন।
এর ডোজ হল প্রথম যেদিন খাবেন তার সাতদিন পর আবার খাওয়াতে হবে। বিড়ালের কৃমির ঔষধটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
Helminticide- L ( Deworming tablet for pet) :
Helminticide- L এই ওষুধটি বিড়ালের কৃমি হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াতে হবে। এই ওষুধটি বিড়ালের সব ধরনের কৃমি দূর করতে সহায়তা করে।
বিড়ালের কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
বিড়ালের কৃমির ঔষধের নাম, বিড়ালের কৃমির ঔষধ ঔষধটি কিভাবে খাওয়াতে হবে তা নিয়ে এখানে আলোচনা করব। এ মেডিসিনটা খাওয়ানোর একদম সহজ একটা নিয়ম আছে যা এখানে আলোচনা করা হবে।
১.এই ঔষধটা খাওয়ানোর আগে আপনার বিড়ালের ওজনটা অবশ্যই জেনে নিতে হবে।
২. নিয়মটি জেনে নেয়ার পরে এই ওষুধটা ভেঙে ওজনের অনুপাতিক হারে খাওয়াতে হবে
৩. বিড়ালের কৃমির ঔষধটি প্রতি ১০ কেজি ওজনের একটি বিড়ালের জন্য একটি ঔষধ.
ধরুন আপনার বিড়ালের ওজন ২ কেজি তাহলে এই বিড়ালের কৃমির ঔষধটি পাঁচ ভাগের এক ভাগ খাওয়াতে হবে.
৪. বাকি যে চার ভাগ থাকলো তা আপনি ভালো মতো সংরক্ষণ করবেন. এবং সাত দিন পরে আবারো এ চার ভাগের একভাগ আপনার বিড়ালকে খাওয়াবেন.
বিড়াল নিয়ে আরও পোড়তে নিচের লিঙ্কে ভিজিট করুন
বিড়ালের পায়খানা না হলে করনীয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানুন
বিড়ালের উকুন দূর করার উপায় সম্পর্কে সহজেই জেনে নিন
শীতকালে বিড়ালের যত্নের জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা
অর্থাৎ বিড়ালের এই কৃমির ঔষধটি প্রথম যেদিন খাওয়ালেন তার সাতদিন পরে আবার খাওয়াতে হবে এবং এটাই হচ্ছে একটি বিড়ালের পূর্ণ ডুজ।
এবং তিন মাস পরে আবারো আপনার বিড়ালের ওজন অনুযায়ী এভাবেই একই নিয়মেই খাওয়াবেন। এবং আপনার বিড়ালটি যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিনই তিন মাস পর পরে এই বিড়ালের কৃমির ঔষধটি খাওয়াতে থাকবেন।
বিড়ালের কৃমির ঔষধ ও বিড়ালের কৃমির প্রকারভেদ
বিড়ালের কৃমির ঔষধের নামএবং বিড়ালের কৃমির ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগে চলন জেনে নেওয়া যাক বিড়ালের আসলে চার ধরনের কৃমি হতে পারে। নিচে ব্যাখ্যা করা হলো:
১. গোল কৃমি
বিড়ালের সবচেয়ে পরিচিত কৃমি বা পরজীবী গোল কৃমি । গোল কৃমি বিড়ালের পাকস্থলীতে থাকে । গোল কৃমি বাচ্চা এবং বড় বিড়াল উভয়েরই হয়ে থাকে। এই কৃমি তিন থেকে চার ইঞ্চি লম্বা হয় । গোল কৃমির ডিম শক্ত খোলস দ্বারা আবৃত । কৃমির ডিম মাটিতে পড়লে এটি ছয় মাস বা এক বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে ।
২. হুক ওয়ার্ম
কৃমির জগতে হুক ওয়ার্ম হচ্ছে সবচেয়ে ছোট কৃমি। হুক ওয়ার্ম কৃমি ১২ ইঞ্চি লম্বা হয়। হুক ওয়ার্ম কৃমি বিড়ালের ক্ষুদ্রান্তে বসবাস করে। হুক ওয়ার্ম কৃমি বিড়ালের রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে। হুক ওয়ার্ম কৃমির ফলে বিড়ালের রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। কুকুরের চেয়ে বিড়ালের গায়ে হুক ওয়ার্ম কৃমি বেশি হয়।
৩. ফিতা কৃমি
ফিতা কৃমি লম্বা এবং চ্যাপ্টা। এদের দেহ খন্ড খন্ড ভাগে বিভক্ত এবং লম্বায় ৪ থেকে ২৮ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটা বমি এবং ওজন হীনতার কারণ। ফিতা কৃমি ভাতের মতো এবং ফিতা কৃমি হলে বিড়ালের লোমে এবং লেজের দিকে আটকে থাকতে দেখা যায়।
৪. লুঙ্গু ওয়ার্ম
লুঙ্গু ওয়ার্ম কৃমি বিড়ালের শ্বাস নিতে বাধা দেয়। ফলে শ্বাস নিতে অনেক কষ্ট হয় এবং অনেক কাশি হয়। এই কৃমি বিড়ালের ফুসফুসে বসবাস করে। যেসব বিড়াল বাইরে থাকে এবং বাইরে যাতায়াত করে বিড়ালের এই কৃমি হতে পারে। বাইরে শিকার ধরে খেলেও কৃমি হতে পারে।
বিড়াল নিয়ে আরও পোড়তে নিচের লিঙ্কে ভিজিট করুন
বিড়ালের বয়স বোঝার উপায় || ৬ টি সহজ উপায়ে
বিড়ালের জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে
বিড়াল সম্পর্কে ১০টি বাক্য || বিড়াল নিয়ে উক্তি
ইসলামে বিড়াল পালনের উপকারিতা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে
বিড়ালের খাবার তালিকা থেকে পুষ্টি চাহিদা পূরণের বিস্তারিত তথ্য
শেষ কথা
বিড়ালের কৃমির ঔষধের নাম কি ? বিড়ালের কৃমির ঔষধ নিয়ে লেখা পোস্টটিতে আপনারা বিড়ালের কৃমি হলে করণীয় ও কি কি ওষুধ খাওয়াবেন তা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তাহলে আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনার বিড়ালের কৃমি হয়েছে। তাহলে ভয় না পেয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিন।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে বিড়ালের কৃমি দূর করার চেষ্টা করুন। উপরে উল্লেখিত বিড়ালের কৃমির ঔষধ গুলো খাওয়ান এবং আপনার বিড়ালকে সুস্থ করে তুলুন। তবে যে কোন ওষুধ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
বিড়ালের কৃমির ঔষধের নামে আজকের পোস্টটি আশা করি আপনার অনেক উপকারে লেগেছে। তাহলে পশ্চিম অন্যদের সাথে শেয়ার করুন এবং তার নাম তাদের সম্পর্কে জানতে সহায়তা করুন।
আজ এ পর্যন্তই ।ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।