বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ — বিড়াল খুব আদরের প্রাণী। মানুষ বিড়াল পছন্দ করে এবং বিড়ালের সাহায্যে থেকে সময় কাটাতে ভালোবাসে। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষের বিড়াল লালন পালন করে থাকে।
বিড়াল লালন পালনের সময় আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে বিড়ালের বিভিন্ন রকমের রোগ এবং বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ সম্পর্কে । এসব রোগ গুলোর মধ্যে একটি ঝুঁকিপূর্ণ রোগ হলো ডিপথেরিয়া রোগ। এই রোগটি হলে বিড়ালের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়।
আজকের এই পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষন। এর সাথে থাকবে ডিপথেরিয়া রোগের কারণ, ডিপথেরিয়ার রোগ কিভাবে ছড়ায় এবং রোগের প্রতিকার, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সম্পর্কে।
বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ
বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ, বিড়াল খুব আদরের একটি প্রাণী। এই পোস্টটি আপনি পড়ছেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি একজন বিড়াল প্রেমী মানুষ। তাহলে তো আপনি বিড়ালের আপনার বিড়ালের বিভিন্ন রকম রোগ নিয়ে জানতে চান। বিড়ালের একটি জটিল রোগ হল ডিপথেরিয়া রোগ। এই রোগটি হলে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দিবে । যার দ্বারা আপনি বুঝতে পারবেন আপনার বিড়াল ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।
বিড়ালের ডিপথেরিয়ার লক্ষণ হিসেবে নিম্নের লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে:
√ জ্বরের সাথে হাল্কা অসুস্থতা থাকবে।
√ জ্বর ২-৩ দিন স্থায়ী হবে।
√ গলায় ব্যথা হওয়া।
√ খাবার গিলতে অসুবিধা হওয়া।
√ নাক দিয়ে রক্তপাত বা পানি পড়া।
√ ক্ষুধামন্দা হবে অর্থাৎ খেতে পারবে না।
√ অল্পতেই ক্লান্তি ভাব হবে।
√ মাঝে মাঝে হাঁচি দিবে।
√ চোখ লাল হয়ে যাওয়া।
√ লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া।
√ তোকে ক্ষত সৃষ্টি বা কালশিটে পড়া।
√ শ্বাস নিতে কষ্ট হবে।
√ মাঝে মাঝেই নাক পরিস্কার করবে।
√ কাশি হবে।
√ ঘাড়ের লিম্ফ নোড ফুলে যাবে।
বিড়াল নিয়ে আরও পড়ুন নিচের লিঙ্ক গুলোতে
বিড়ালের কৃমির ঔষধের নাম এবং বিড়ালের কৃমির প্রকারভেদ
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়? সঠিক তথ্য
বিড়ালের কাশি হলে করণীয় সম্পর্কে জানুন
বিড়ালের বমি হলে করণীয় ঘরোয়া চিকিৎসা
বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ ও ডিপথেরিয়া রোগের কারণ
উপরে উল্লেখিত বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ গুলো জানার পর আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে এই রোগটি কি জন্য হয়ে থাকে।
ডিপথেরিয়া রোগের প্রধান কারণ হলো Corynebacterium Ulcerans । Corynebacterium Ulcerans হলো এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া যা বিড়ালের ডিপথেরিয়ার সাথে সম্পর্কিত। এই ব্যাকটেরিয়া টি একবার কারো শরীরের প্রবেশ করলে ভিতরে কিছু বিষাক্ত পদার্থ তৈরি করতে পারে। এই বিষাক্ত পদার্থ পরবর্তীতে ডিফথেরিয়া রোগের সৃষ্টি করে।
বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ, বিড়াল এবং মানুষ বর্তমানে Corynebacterium Ulcerans ব্যাকটেরিয়ার জন্য ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এই ব্যাকটেরিয়া টি কুকুর এবং বিড়ালের মত পোষা প্রাণীর সাথে সম্পর্কিত। সুস্থ কিংবা অসুস্থ উভয়ের বিড়ালের মধ্যে এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে।
ডিপথেরিয়া রোগ কিভাবে ছড়ায়
বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ জানার পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে এ রোগটি কিভাবে ছড়ায়। তাহলে চলে নিচের আলোচনা থেকে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা যাক।
√√ Corynebacterium Ulcerans ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়।
√√ আপনার বিড়াল অস্বাস্থ্যকর এবং ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে থাকলে তার ডিপথেরিয়া রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি থেকে যায়।
√√ ডিপথেরিয়া রোগ খুবই ছোঁয়াচে একটি রোগ। তাই আক্রান্ত কোনো বিড়ালের সংস্পর্শে আসলে আপনার বিড়ালের রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
√√ যেসব বিড়াল বাইরে যাতায়াত করে এবং শিকার ধরে খায়। সেসব বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগ ছড়ায়।
আপনার আদরের পোষা বিড়ালটি থেকে আপনার শরীরে ডিপথেরিয়া রোগের জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। এজন্য বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ জানা যরুরি। আপনি যদি কোন বিড়াল লালন পালন করে থাকেন তাহলে অবিলম্বে তার ডিপথেরিয়া রোগের পরীক্ষা করিয়ে নিন। আপনি নিশ্চিত হন যে তার এই রোগটি হয়নি।
কারণ আপনি যখন তাকে স্পর্শ করবেন কোলে নিয়ে আদর করবেন তখন তার শরীর থেকে Corynebacterium Ulcerans ব্যাকটেরিয়া আপনার শরীরে প্রবেশ করে যাবে। খাবার অথবা পানি খাওয়ার সময় এই রোগটি আপনার ভিতরে আপনার অজান্তে ঢুকে যাবে। আপনার থেকে আপনার অন্যান্য পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত হয়ে যাবে। কারণ এটি খুবই ছোঁয়াচে একটি রোগ। তাই বিড়াল নেওয়ার আগে অথবা পরে দুই সময়েই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।
বিড়াল নিয়ে আরও পড়ুন নিচের লিঙ্ক গুলোতে
বিড়ালের ঠান্ডার ঔষধ || বিড়ালের ঠান্ডা লাগলে করণীয়
বিড়াল নিয়ে ক্যাপশন বাংলা ও ইংরেজি
বিড়ালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
ডিপথেরিয়া রোগের প্রতিকার ও ডিপথেরিয়া টিকা
বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ জানার পরে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে ডিপথেরিয়া রোগের প্রতিকার সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নিই এই রোগের প্রতিকার ব্যবস্থা কি।
বর্তমান সময়ে ডিপথেরিয়া টক্সিন এর বিরুদ্ধে অত্যন্ত শক্তিশালী ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়েছে। এ ভ্যাকসিন গুলোর মধ্যে রয়েছে ডিপিটি (DPT VACCINE) ভ্যাকসিন, ডিপথেরিয়া পারটুসিস (PERTUSSIS), টিটেনাস (TETANUS)।
✓✓ ডিপথেরিয়া রোগের প্রতিকারের জন্য উপরে উল্লেখিত ভ্যাকসিন গুলো দেওয়া হয়। ফলে এই রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা লাভ করা যায়।
✓✓ স্বাস্থ্যকর ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকতে হবে এবং আপনার পোষা বিড়ালকে রাখতে হবে।
✓✓ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এমন খাবার খাওয়াতে হবে।
ডিপথেরিয়া রোগের বাহক কে
বিড়াল হলো ডিপথেরিয়া রোগের বাহক। বিড়াল একটি পরজীবী জীবানু বহন করে । এ জীবনটির নাম হল টকসোপ্লাজমা গণ্ডি। এটি এমন একটি জীবানু যা টক্সপ্লাজমোসিস নামে এক ধরনের এককোষী পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট।
টক্সপ্লাজমোসিস পরজীবী জীবাণু অসুস্থ অথবা সুস্থ প্রায় সব ধরনের বিড়ালের মলমূত্রে এবং মুখে থাকে।
শুধু তাই নয় এই জীবাণু বিড়ালের শরীরেও লেগে থাকে।
তাই আমরা যখন আদর করে বিড়ালকে কোলে নিয়ে হাত দিয়ে আদর করি। তখন এই জীবন গুলো আমাদের হাতের সাহায্যে খাবার ও পানির সাথে আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
বিড়াল পোষা আনন্দের একটি কাজ হলেও আমাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে বিড়াল আপনার জন্য ক্ষতির কারণ ও হতে পারে। কারণ বিড়ালের গায়ে যে Corynebacterium Ulcerans ব্যাকটেরিয়া থাকে এটি খুবই বিরল এবং মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া
বিড়াল নিয়ে আরও পড়ুন নিচের লিঙ্ক গুলোতে
বিড়ালের পায়খানা না হলে করনীয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানুন
বিড়ালের উকুন দূর করার উপায় সম্পর্কে সহজেই জেনে নিন
শীতকালে বিড়ালের যত্নের জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা
বিড়ালের বয়স বোঝার উপায় || ৬ টি সহজ উপায়ে
ডিপথেরিয়া রোগের প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ, আপনার বিড়ালটা যদি Corynebacterium Ulcerans ব্যাকটেরিয়ার জন্য ডিপথেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে কিন্তু তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
√ চিকিৎসক সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য বিড়ালের গলনালির শ্লেষার নমুনা সংগ্রহ করে।
√ গলার ভেতরে হওয়া ধূসর রঙের আস্তরণ পরীক্ষার মাধ্যমে ডিপথেরিয়া রোগ নির্ণয় করতে হবে।
√ সিরোলজিক্যাল পরীক্ষা এবং রক্ত পরীক্ষা যেমন সম্পূর্ণ রক্তের গণনা, ডিপথেরিয়ার অ্যান্টিবডি এন্টিজেন পরীক্ষা করতে হবে।
সময় মত এইসব পরীক্ষা করার মাধ্যমে দ্রুত রোগটি নির্ণয় করা সম্ভব।
রোগী নির্ণয়ের পর নিম্নোক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে:
✓✓ যে ব্যাকটেরিয়ার জন্য রোগটি হয়েছে তাকে দমন বা নিষ্ক্রিয় করতে প্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে।
✓✓ ডিপথেরিয়া রোগের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টি টক্সিন এর ব্যবহার ।
✓✓ ফ্লুইডস বাই IV ( শিরার মাধ্যমে প্রদান করা হয়)।
✓✓ নিঃশ্বাস নিতে টিউবের ব্যবহার।
✓✓ বিছানায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহণ করা।
✓✓ বাতাস চলাচলের পথ পরিষ্কার করা।
চিকিৎসক যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারবেন যে বিড়ালটির রোগ পুরোপুরি ঠিক হয়ে গেছে। ততক্ষণ আক্রান্ত বিড়ালকে সুস্থ বিড়াল থেকে আলাদা রাখতে হবে।
বিড়াল নিয়ে আরও পড়ুন নিচের লিঙ্ক গুলোতে
বিড়ালের জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে
বিড়াল সম্পর্কে ১০টি বাক্য || বিড়াল নিয়ে উক্তি
ইসলামে বিড়াল পালনের উপকারিতা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে
ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ এবং ঝুঁকি
ডিপথেরিয়া থেকে রোগের বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। নিচে ঝুঁকি গুলো আলোচনা করা হলো।
√√ যদি কারো মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাহলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
√√ সময় মত টিকা না নেয়া হলে ডিপথেরিয়া রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
√√ অস্বস্তীকর ঘরে ও জনবসতিপূর্ণ জায়গায় বসবাস করলে এই ডিপথেরিয়া রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
√√ যদি সঠিক সময় চিকিৎসা না করা হয় তাহলে আক্রান্ত বিড়াল অথবা মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
বিড়াল থেকে কোন রোগ ছড়ায়
বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ, বিড়াল থেকে সাধারণত ডিপথেরিয়া এবং হাঁপানি রোগ ছড়ায়। কারণ বিড়ালের গায়ে যে টক্সপ্লাজমোসিস জীবাণু থাকে। সেই জীবাণু আমার তাদেরকে আদর করার সময় আপনার হাতের সংস্পর্শে এসে খাবারের মাধ্যমে আপনার শরীরের ভিতরে ঢুকে যেতে পারে।
ডিপথেরিয়া এবং হাঁপানি ছাড়া ও বিড়ালের লোম থেকে বাইপলার ডিজঅর্ডার হতে পারে। বাইপলার ডিজঅর্ডার এর অর্থ হল দীর্ঘ সময় ধরে একজন ব্যক্তির মুডের, আবেগের বা মানসিক অবস্থার বিপরীতমুখী পরিবর্তন ঘটা।
যাদের শৈশবে অথবা অন্য সময় প্রায় পালন করার অভ্যাস ছিল এমন মানুষদের মধ্যে পরবর্তী জীবনে মানসিক রোগ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি থাকে।
বিড়াল নিয়ে আরও পড়ুন নিচের লিঙ্ক গুলোতে
বিড়ালের খাবার তালিকা থেকে পুষ্টি চাহিদা পূরণের বিস্তারিত তথ্য
ইসলামিক বিড়ালের নাম || ছেলে ও মেয়ে বিড়ালের সুন্দর নাম ||
বিড়াল একটি প্রেমময় প্রাণী বিড়াল এর বৈশিষ্ট্য, খাদ্যাভাস, বাসস্থান ও অন্যান্য তথ্য
বিড়ালের চোখের সমস্যা ও তার প্রতিকার, সাথে ঘরোয়া কার্যকরী সমাধান
শেষ কথা
বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ সম্পর্কে লেখা আজকের পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট। এখানে রোগের লক্ষণের পাশাপাশি আপনি জানতে পেরেছেন এই রোগের কারণ প্রতিকার এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে।
ডিপথেরিয়া রোগ ছোঁয়াচে এবং জটিল একটি রোগ। তাই আপনার বিড়াল যাতে এই রোগে আক্রান্ত না হয় এই বরং পারে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। এজন্য নিয়মিত টিকার ব্যবস্থা করতে হবে। আর কোনভাবে যদি বিড়াল আক্রান্ত হয়ে যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে বিড়ালের পাশাপাশি আপনি এবং আপনার পরিবারের সদস্যরা ও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে।
বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ নিয়ে লিখা আজকের পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়ে থাকলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। কারণ এই রোগটি সম্পর্কে সকলের জেনে রাখা দরকার। কারণ যারা বিড়াল পোষেন পোষার কথা ভাবছেন তারা এ রোগে আক্রান্ত না হন।
বিড়াল নিয়ে আরো বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্বলিত পোস্ট পেতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন এবং বিড়াল সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জানুন। আজ এ পর্যন্তই ।ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।